কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও পেয়াঁজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের খুলনা ও যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মশালা গত ২৯ মে সকাল ৯টায় খুলনার দৌলতপুরস্থ ডিএই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বীজ প্রত্রয়ন এজেন্সি খুলনার আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ অশোক কুমার হালদার এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ নিত্য রঞ্জন বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিএই যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডীদাস কুন্ডু ও প্রকল্পের ডিপিডি কৃষিবিদ জেবুন্নাহার জাবেদুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পরিচালক কার্যালয়, খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার বলেন, জমির প্যার্টান পরিবর্তন করে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। শস্য বিণ্যাসে একটা ডাল ফসল থাকলে মাটির গুণাগুণ উন্নত হয়। তিনি বলেন, কৃষি এখন বাণিজ্যিক। কৃষিতে লাভ না হলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ডাল, তেল ও পেঁয়াজের মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে এর ঘাটতি মেটানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, কৃষক পর্যায়ে এসব ফসলের ভাল বীজ উৎপাদন করলে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি কৃষকদেরকে বীজ কাড প্রদান করবে। অন্যান্যদের মধ্যে খুলনার দিঘলীয়ার আড়ংঘাটার ডাল চাষি মেজবাউল আলম ও মৌ চাষি এবাদত আনসারী বীজ উৎপাদন কার্যক্রমের উপর বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে কারিগরী সেশনে খুলনা অঞ্চলের সকল জেলার প্রকল্পের কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা ও যশোর অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, হর্টিকালচার সেন্টার, বিএডিসি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সিসহ মৌ চাষী ও সফল চাষীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।